Thursday, January 29, 2015

খেলাধুলা কি শুধুই বিনোদন?

আধুনিক যুগে স্পোর্টস বা খেলাধুলা এখন আর শুধুমাত্র বিনোদনের বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটা একই সাথে ইতিহাস, রাজনীতি, এবং অর্থনীতির সাথেও গভীরভাবে সম্পৃক্ত।

খেলা ব্যবসায়ীদের জন্য যেমন টাকা কামিয়ে নেয়ার হাতিয়ার তেমনি ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতাকে নিষ্কন্টক, নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন রাখার সহজ উপায়।

খেলাধুলার প্রতি জনগনের আবেগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা সাধারন জনগনের পকেট থেকে হাজার হাজার কোটি ডলার হাতিয়ে নেয়।

অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন শাসক গোষ্ঠীও খেলাধুলার প্রতি জনগনের আবেগকে ব্যাবহার করে জনগনকে তাদের অধীকার ও দাবী-দাওয়া থেকে ভুলিয়ে রাখে। জনগনকে খেলাধুলার কাল্পনিক জয়-পরাজয়ের আবেগের মধ্যে নেশাগ্রস্ত করে রেখে ক্ষমতাসীন শাসক গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ হাসিল করে নেয়।

বাঙালি সংস্কৃতি কি অখন্ড বা অভিন্ন?

বাঙালি সংস্কৃতি যে অখন্ড বা অভিন্ন নয় সেটা বুঝতে হলে আমাদের কিছু বিষয় বিবেচনা করতে হবে। যেমন, রাজনৈতিক সীমানা দিয়ে চিহ্নিত করলে এই সমাজকে এখন প্রায় দু ভাগে ভাগ করা যায়- পশ্চিমবংগ ও বাংলাদেশ। ধর্মের কথা তুললেও তা দ্বিধা বিভক্ত - প্রধানত হিন্দু আর মুসলিম সমাজ।

এখানেই এই দ্বিধা বিভক্তির শেষ নয়, একই ধর্মের মধ্যেই রয়েছে নানা বিভেদের দেয়াল। যেমন, উচ্চবর্ণের হিন্দু সমাজ আর নিম্ন বর্ণের হিন্দু সমাজ মোটেই এক নয়, দেবদেবীরর নাম এক হওয়া সত্ত্বেও।

বস্তুত, ধর্মমতের সামান্য পার্থক্যের কারনেও সমাজের বিভিন্ন অংশের মধ্যে, ব্যক্তির সংগে ব্যক্তির ব্যাপক পার্থক্য দেখা দিতে পারে। একজন অন্য একজনের হাতে না-ও খেতে পারে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বের সাংস্কৃতিক মানচিত্রে বাঙালির নাম উজ্জল রঙে এঁকে দিয়েছিলেন। কিন্তু মুসলমান সমাজ দীর্ঘদিন তাঁকে আপন বলে মেনে নেয়নি। ধর্মের ধোঁয়াশা সূর্যের মত চোখ-ধাঁধানো প্রতিভাকে পর্যন্ত দূরে ঠেকিয়ে রেখেছিল।

ধর্ম এবং বর্ণের মত বাংলার গ্রামীন সমাজ এবং শহরের নাগরিক সমাজের মধ্যেও রয়েছে ব্যাপক পার্থক্য। এছাড়া, বাঙলার বিভিন্ন অঞ্চলের  উপভাষাগত ব্যবধানও কম নয়। মোট কথা, বাঙালি সমাজ বললে কোন অভিন্ন সমাজ বোঝায় না।

গ্লোবাল নর্থ ও গ্লোবাল সাউথ কী?

পৃথিবীকে নর্থ ও সাউথ দুই ভাগে ভাগ করা হয় মূলত সামাজিক-অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতার বৈশিষ্ট্যর উপর ভিত্তি করে। গ্লোবাল নর্থ হচ্ছে নর্থ আমেরিকা, ওয়েস্টার্ন ইউরোপ, এবং ইস্ট এশিয়ার উন্নত দেশগুলো। অপরদিকে গ্লোবাল সাউথ হচ্ছে আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, উন্নয়নশীল দক্ষিন এশিয়া এবং মিডল ইস্ট।

নর্থকে সাধারনত উন্নত বিশ্ব ও সাউথকে অনুন্নত বিশ্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

Saturday, January 3, 2015

সংস্কৃতি বলতে কি শুধু নাচ-গানকেই বোঝায়?

বাঙালি "সংস্কৃতি" বলতে শুধু নাচ-গানকে বোঝে। নৃত্য ও গানবাজনা যে সংস্কৃতির দুটো উপাদান মাত্র এবং এর বাইরেও যে সংস্কৃতির অন্যান্য হাজারো উপাদান আছে, তা তারা বুঝতে চায় না।

সংস্কৃতি শুধুমাত্র নাচ ও গানের মধ্যে সীমাবদ্ধ না। সংস্কৃতি একটা টোটাল ওয়ে অব লাইফ বা জীবনের একটা সামগ্রিক রূপ। আর তাই, শিল্প-সাহিত্য, ধর্ম, বিজ্ঞান, পোশাক-আশাক, খাদ্যাভ্যাস, চিন্তা-ভাবনা সবকিছুই সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত।

সংস্কৃতি কী?

সমাজবিজ্ঞানীরা সংস্কৃতির যে সংজ্ঞা দিয়েছেন, তা যেমন সহজ বা সরল নয়; তেমনি সংক্ষিপ্তও নয়।

সংস্কৃতি যেমন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার মত বস্তু নয়; তেমনি তা মাত্র একটি বা দুটি উপাদান দিয়েও তৈরি নয়। সংস্কৃতি অতি জটিল একটি ধারনা।

উনিশ শতকে এডওয়ার্ড টেইলরের দেয়া সংস্কৃতির সংজ্ঞাকে ধ্রুপদী বলে ধরা হয়। সেই সংজ্ঞা মতে, মানুষের বিশ্বাস, আচার-আচরন এবং জ্ঞানের একটি সমন্বিত প্যাটার্নকে সংস্কৃতি বলা যায়। ভাষা, সাহিত্য, ধারনা, ধর্ম ও বিশ্বাস, রীতিনীতি, সামাজিক মূল্যবোধ ও নিয়মকানুন, উৎসব, শিল্পকর্ম এবং দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার হয় এমন জিনিসপত্র বা হাতিয়ার ইত্যাদি সবকিছু নিয়েই সংস্কৃতি। এমনকি, সমাজের সদস্য হিসেবে মানুষ যেসব শিক্ষা, সামর্থ্য এবং অভ্যাস আয়ত্ত করে, তাও সংস্কৃতির অংশ।

Friday, January 2, 2015

নারীবাদ কি পুরুষ বিদ্বেষী?

নারীদের জন্য, নারীদের অসহায়ত্বের জন্য সভ্য দেশগুলোতে কিছু বাড়তি আইন আছে। কিন্তু তাই বলে সেসব আইনের সাহায্য নিয়ে পুরুষদের হয়রানি করা বা অপব্যবহার করা, আর যাই হোক তা কোনোভাবেই নারীবাদ হতে পারেনা।

নারীবাদ মানেই সবসময় তা নারীর পক্ষে আর পুরুষের বিপক্ষে তা নয়। নারীবাদ সবসময় ন্যায়ের পক্ষে। নারীবাদ নারী-পুরুষ সবার অধিকারের পক্ষে কথা বলে। সমাজে নারীর পিছিয়ে থাকা, পুরুষ কর্তৃক নারী নির্যাতনের হার অনেক বেশি হওয়ার কারনে হয়ত নারীবাদকে নারীদের অধিকার নিয়ে বেশি কথা বলতে হয়।