Thursday, February 26, 2015

সমাজের জন্য মানুষ নাকি মানুষের জন্য সমাজ?

সামাজিক প্রথা, নিয়ম-কানুন বা রীতিনীতি খারাপ না। তবে কোন প্রথা বা নিয়ম-কানুন যদি মানুষের অধিকার হরণ করে বা কোন বিশেষ গোষ্ঠীকে নির্যাতন ও শোষনের সুযোগ তৈরি করে দেয়, তাহলে সেই নিয়ম-কানুনকে ঝেটিয়ে বিদায় করা উচিৎ।

ধর্ম রক্ষা, জাতি রক্ষার নামে ব্যক্তি অধিকার হরণ, ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ সভ্য সমাজে কাম্য হতে পারে না। মনে রাখতে হবে, সমাজের জন্য মানুষ না; বরং মানুষের জন্যই সমাজ।

Monday, February 23, 2015

অমর্ত্য সেনের উন্মুক্ত বক্তৃতা: অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানবিক প্রগতি

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন আজ বেলা চারটায় ঢাকার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে "অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানবিক প্রগতি" শিরোনামে একটি উন্মুক্ত বক্তৃতা করেন। তার এই বক্তৃতা শুনে যা বুঝলাম তা নিচে খুবই সংক্ষেপে আমার ভাষায় দিলাম।
যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীকে স্পর্শ করতে পারে না, তাদের জীবন-যাপনের
মান উন্নত করতে পারেনা তাকে সত্যিকারের
উন্নয়ন বলা যায় না।
মানবিক প্রগতি ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়ন একটা অসম্পূর্ণ ধারনা। অর্থনৈতিক উন্নয়নের আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানবিক প্রগতি অর্জন অর্থাৎ মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামগ্রিক জীবন মানের উন্নয়ন।
শিক্ষা, স্বাস্থসেবা ও জেন্ডার সমতা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানিবক প্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পৃথিবীর কোন দেশে শিক্ষা ও স্বাস্থসেবার উন্নয়ন রাষ্ট্রের বিনিয়োগ ও ভুমিকা ছাড়া শুধুমাত্র বাণিজ্য বা বেসিরকারি খাতের হাতে ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিত হয় নি।
কাজেই, রাষ্ট্রের দ্বায়িত্ব হচ্ছে সকল জনগনের শিক্ষা ও স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করা। একমাত্র শিক্ষিত ও স্বাস্থবান নাগরিকগনের পক্ষেই রাষ্ট্রের উন্নয়ন কাজে ভূমিকা রাখা সম্ভব।

Wednesday, February 18, 2015

এলোমেলো ভাবনা (২)

(১)বাঙালি ইতিহাস সচেতন জাতি না। তা না হলে তারা পাকিস্তানিদের বর্বরতার বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে স্বাধীনতা অর্জন করার পরেও পাহাড়ি আদিবাসীদের সাথে সেই একই রকম বর্বর আচরন করতে পারতো না।

(২)বাঙালিদের মধ্যে যে ইতিহাস সচেতনতা নাই তার প্রমান পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কোন খেলা হলেই দেখা যায়। বাঙালিদের প্রতি পাকিস্তানিদের অত্যাচার, অবিচার, নিপীড়ন, শোষণ ও ধর্ষণের ইতিহাস সচেতনতার ন্যূনতম  অংশ অবশিষ্ট থাকলে ক্রিকেট খেলায়ও কেউ পাকিস্তানের সমর্থন    করতে পারত না।

(৩)দুর্ঘটনা ও অসতর্কতা এক বিষয় না। দুর্ঘটনা দু-একবার ঘটতে পারে কিন্তু কোন ঘটনা যখন বারবার ঘটে, সেটাকে দুর্ঘটনা না বলে অসতর্কতার ফলাফল বলাই অধিক যুক্তিযুক্ত।

(৪)একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের কর্তব্য হচ্ছে, সে সব বিষয় সম্পর্কে কিছু কিছু এবং কিছু বিষয় সম্পর্কে সবকিছু জানবে।

(৫) বাঙালি সংস্কৃতি কোন মৌলিক বা অভিন্ন সংস্কৃতি নয়। এ সমাজ যেমন বহু ভাগে বিভক্ত, এ সংস্কৃতিও তেমনি বহু রঙে রাঙানো।

(৬)চিন্তার সংকীর্ণতা দুর করতে আড্ডা বা পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার বিকল্প নাই। তাই আড্ডায় পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।

(৭)মুখে শান্তিনেকেতন আর অন্তরে পেন্টাগন রেখে পাহাড়ে যতই "শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের" সাইনবোর্ড টাঙানো হোক না কেন, তাতে পার্বত্য চট্রগ্রামে শান্তি আসবেনা।

(৮) নারী নির্যাতনকে প্রতিরোধ করতে হলে নারীকে হয়ে উঠতে হবে পুরুষের সমকক্ষ - ঘরে ও বাইরে, মেধা ও মননে, এবং মানসিক ও শারীরিক শক্তিতে।

(৯)মুখের কথা বোঝ, মনের কথা বোঝ না?

(১০)স্পোর্টস বা খেলাধুলা শুধুমাত্র বিনোদনের বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটা একই সাথে ইতিহাস, রাজনীতি, এবং অর্থনীতির সাথেও গভীরভাবে সম্পৃক্ত।