Thursday, January 28, 2016

সমাজবিজ্ঞানী যখন রোমান্টিক!

পেশায় সমজাবিজ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও আমি রোমান্টিক বা কল্পনাবিলাসী হতেই পছন্দ করি। রোমান্টিকতার সংজ্ঞা যেটাকে যুক্তিবাদী চিন্তার বিপরীত মনে করা হয় তার সমালোচনায় আমার আগ্রহ নাই। তাতে কী? আপনি রোমান্টিক, আপনি যুক্তিবাদী না - কথাটি শুনতে রূঢ় হলেও তা কিন্তু  আপনি সহজেই উপেক্ষা করতে পারবেন না।

আমি যে রোমান্টিকতার কথা বলছি তা হল প্রকৃতির সুর শ্রবণ। প্রকৃতিতে এমন কিছু সুর রয়েছে যেটা পাখির ডাকের মত স্পষ্ট। কিন্তু আপনি যখন প্রকৃতির অস্ফুট সুরেলা ধ্বনি শুনতে পান তখন কী ঘটে? আমার কাছে মনে হয়, একমাত্র কবিতাই কেবল তা ধরতে পারে। অন্য কথায়, কবিতা হচ্ছে প্রকৃতির সুরের প্রতিচ্ছবি।

Even being a sociologist by profession I love to romanticize! Not interested in critically examining the connotation of romanticism, which is opposed to rational thinking. So what? You are romantic, you are not rational - sounds harsh but not something you immediately reject.

The romanticism I am talking about is about listening to tunes of nature, there are some tunes which are explicit, for example the chirping of a bird. But what happens when you listen to a tune embedded in nature but not audible? To my mind poetry is there to capture that tune, in other words poetry is synonym for the tune of nature!

মূল লেখা: মনিরুল ইসলাম স্যার, চেয়ারম্যান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

শিরোনাম ও ভাবানুবাদে: স্যারের গুণমুগ্ধ এক ছাত্র ;)

Monday, January 25, 2016

সর্বকালের সেরা বিশটি প্রভাবশালী একাডেমিক বইয়ের তালিকা!

সম্প্রতি ব্রিটেনের "বুকসেলার এসোসিয়েশান' ও "দি একাডেমিক বুক অব দ্য ফিউচার প্রজেক্ট" যৌথভাবে বিজ্ঞ একাডেমিশিয়ান, লাইব্রেরিয়ান ও প্রকাশকদের মধ্য থেকে জরিপ করে সর্বকালের সেরা বিশটি প্রভাবশালী একাডেমিক বইয়ের তালিকা তৈরি করে। বইগুলোর তালিকা নিচে দেয়া হল।

1. A Brief History of Time by Stephen Hawkin

2. A Vindication of the Rights of Woman by Mary Wollstonecraft

3. Critique of Pure Reason by Immanuel Kant

4. Nineteen Eighty-Four by George Orwell

5. On the Origin of Species by Charles Darwin

6. Orientalism by Edward Said

7. Silent Spring by Rachel Carson

8. The Communist Manifesto by Karl Marx and Friedrich Engels

9. The Complete Works of William Shakespeare

10. The Female Eunuch by Germaine Greer

11. The Making of the English Working Class by EP Thompson

12. The Meaning of Relativity by Albert Einstein

13. The Naked Ape by Desmond Morris

14. The Prince by Niccolò Machiavelli

15. The Republic by Plato

16. The Rights of Man by Thomas Paine

17. The Second Sex by Simone de Beauvoir

18. The Uses of Literacy by Richard Hoggart

19. The Wealth of Nations by Adam Smith

20. Ways of Seeing by John Berger

তো, এই বইগুলোর মধ্যে কে কয়টা পড়েছেন?  আমি বিশটার মধ্যে মাত্র আটটা পড়েছি। যদিও তার আবার সবগুলো ভাল করে বুঝিও নাই। :(

বিজ্ঞানই কি মানবসভ্যতার সর্বনাশের কারণ হবে?

বিজ্ঞানের একটা ইতিহাস রয়েছে। আর এই ইতিহাস তাৎপর্যপূর্ণ কেননা মানব সমাজের বিভিন্ন যুগ বিজ্ঞানের আবির্ভাবকে ভাল চোখে দেখেনি। বিশেষ করে মধ্যযুগে যখন প্রকৃতি, সমাজ ও রাজনীতি বিষয়ে ধর্মীয় ব্যাখ্যার সাথে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির বৈপরীত্য বা বিরোধ দেখা দিচ্ছিল তখন ইউরোপের ধর্মীয় মৌলবাদ বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল।

আলোকপ্রাপ্তির যুগ বলা হয় সেই সময়কে যখন বিজ্ঞান প্রচন্ড গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল কিন্তু তারপর বিজ্ঞানের কী হল?

আসলে যখন থেকে মানব সমাজ প্রকৃতির সাথে সহাবস্থানের পরিবর্তে তাকে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা শুরু করলো তখন থেকেই মূলত সব সমস্যার উৎপত্তি।

প্রফেসর হকিং তাই আবারো আমাদের স্মরণ করিয়ে দিলেন যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে জীবনধারা উন্নতি করতে আমাদের তাড়াহুড়া মানব সভ্যতার সর্বনাশের কারণ হতে পারে। কিন্তু তার এই সতর্কবার্তা কি মানবসভ্যতার নিয়ন্ত্রণকারী মহাদেশীয় মোড়লদের কানে পৌছাবে?

Science has a history. This history is eventful because different periods of human society was not sympathetic to its smooth emergence, particularly the European medieval period when religious orthodoxy posed hindrances to it when new scientific ideas was conflicting with religious interpretation of nature, politics or society.

Enlightenment is considered as the time when science emerged quite vigorously; but what happened with science afterwards?

Through it human society sought to subjugate the nature instead of pursuing coexistence, there started the main problem.

Professor Hawking again reminded," ...that our rush to understand and improve life through science and technology could be humanity’s undoing". Does this warning reach those who now determine the human fate in different continents?

মূল লেখা: মনিরুল ইসলাম স্যার, চেয়ারম্যান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

শিরোনাম ও ভাবানুবাদে: স্যারের গুণমুগ্ধ এক ছাত্র। ;)

Tuesday, January 19, 2016

পার্বত্য চট্রগ্রামের পাহাড়ী অধিবাসীরা আদিবাসী নাকি উপজাতি?

জাতিসংঘের বিভিন্ন পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে ক্রমাগত আলোচনার পরেও 'আদিবাসি' সম্পর্কে একক কোন সর্বজনগ্রাহ্য সংজ্ঞায় উপনীত হওয়া সম্ভব হয় নাই। তবে 'আইএলও' 'উপজাতি' ও 'আদিবাসি'র একটা সংজ্ঞা দেয়। আইএলও কনভেনশন অনুযায়ী উপজাতি তারাই:

১। যারা নিজস্ব ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রথাগত জীবন যাপন করে।

২। যাদের সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রা মূল জনগোষ্ঠী থেকে আলাদা।

৩। যাদের নিজস্ব সামাজিক প্রথা, প্রথিষ্ঠান ও আইন আছে।

আর আদিবাসীদের ক্ষেত্রে উপরোক্ত তিনটি বৈশিষ্ট্য ছাড়াও আরো একটি বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়, তা হল:

৪। "কোন এলাকা অন্য কারো দ্বারা দখলকৃত হওয়ার আগে বা ঐ এলাকায় অন্য কারো আগমনের আগ পর্যন্ত (প্রাক ঔপনিবেশিক) যাদের ঐ এলাকায় বসবাসের ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা আছে।"

পার্বত্য চট্রগ্রামের পাহাড়ী অধিবাসী বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের প্রথম তিনটি বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিতর্ক নেই। এখন চতুর্থ বৈশিষ্ট্য নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।

পার্বত্য চট্রগ্রামে কোন জাতিগোষ্ঠী বসবাসের জন্য আগে এসেছিল সে ঐতিহাসিক বিতর্কে আমি যাবনা। আমি শুধু ব্রিটিশ আমল থেকে পরিচালিত কিছু আদমশুমারি রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করব।

১৮৭২ সালের আদমশুমারি রিপোর্ট অনুযায়ী পার্বত্য চট্রগ্রামে বসবাসকারী মোট জনসংখ্যার মধ্যে পাহাড়ী বা আদিবাসি ছিল ৯৮% ও বাঙালি ছিল মাত্র ২%।

১৯০১ সালের আদমশুমারি রিপোর্ট অনুযায়ী পার্বত্য চট্রগ্রামে আদিবাসি জনসংখ্যা ছিল ৯৩% ও বাঙালি ছিল মাত্র ৭%।

১৯৫১ সালের আদমশুমারি রিপোর্ট অনুযায়ী পার্বত্য চট্রগ্রামে আদিবাসি জনসংখ্যা ছিল ৯১% ও বাঙালি ছিল মাত্র ৯%।

এর পর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাঙালি সেটেলমেন্ট প্রোগ্রামের কারনে পার্বত্য চট্রগ্রামে বাঙালিদের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়।

তাই ১৯৮১ সালের আদমশুমারি রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যায়, পার্বত্য চট্রগ্রামে আদিবাসি জনসংখ্যার পরিমান দাড়ায় ৫৯% ও বাঙালি ৪১%।

এরপর সর্বশেষ ২০১১ সালের আদমশুমারি রিপোর্ট অনুযায়ী পার্বত্য চট্রগ্রামে আদিবাসি জনসংখ্যার পরিমান দাড়ায় ৪৮% ও বাঙালি ৫২%।

তো, কী বোঝা গেল?

আসল কথা হচ্ছে, সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের নেয়া সেটেলমেন্ট প্রোগ্রাম ও পরবর্তিতে সরকারের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নীতির কারনে এভাবেই দিন দিন পাহাড়ীরা তাদের পাহাড়ে সংখ্যালঘুতে পরিনত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো একসময় অণুবীক্ষণযন্ত্র যন্ত্র দিয়েও দু-চারটা পাহাড়ী খুঁজে পেতে বেগ হবে।