Tuesday, October 27, 2015

উপজাতি, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী শব্দ দুটি বর্জনীয়!

পৃথিবীর সব মানুষই কোন না কোন নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। তাই শুধু মাত্র সংখ্যায় অল্প হওয়ার কারনে তাদের নামের আগে ক্ষুদ্র শব্দ যোগ করা নিম্ন রুচির বহি:প্রকাশ ছাড়া আর কিছু না।

উদাহরণস্বরূপ, কালো ও খাটো হওয়ার কারনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ এই মাহবুব উদ্দীন স্যারকে কেউ যদি "কালা মাহবুব" বা "বাইট্যা মাহবুব" বলে, তাহলে সেটা কি সভ্য সমাজে গ্রহনযোগ্য হবে?

একটা জাতী সবসময় জাতিই। তা কখনো উপ হয় না। আর উপজাতি একটা ডেরোগেটিভ শব্দ। সভ্য মানুষদের ডিকশনারী থেকে অনেক আগেই এই ধরনের শব্দ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। একমাত্র অসভ্যদের মুখেই এ ধরনের ডেরোগেটিভ শব্দ শোনা যায়।

মতিঝিলে রাস্তার পাশে অস্থায়ী অস্বাস্থ্যকর খাবারের দোকান এত বেশি কেন?

দেশের সবচেয়ে বড় ও প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে ওখানে ধনীক শ্রেনী বা পর্যাপ্ত টাকা-পয়সা ওয়ালা লোকদেরই থাকার কথা। সেক্ষেত্রে ধনীদেরতো শুধু স্বল্পমূল্যের জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কথা না।

আসল ব্যাপার হচ্ছে মতিঝিলে প্রচুর সংখ্যক স্বল্প বেতনের চাকুরীজীবী ও স্বল্প আয়ের ব্যবসায়ী আছে। যাদের বড় বড় হোটেলের এক্সপেন্সিভ লাঞ্চের পিছনে ব্যয় করার মত সামর্থ্য বা বিলাসিতা দেখানোর মত যথেষ্ঠ কারন নাই।

আমার ধারনা, অর্থনৈতিক ফ্যাক্টরই এর প্রধান কারন। এছাড়া, জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে অসচেতনাও এর পিছনে খানিকটা দায়ী বলে বলা যায়।

Monday, October 26, 2015

খাগড়াছড়ি শহরে একদিন!

খাগড়াছড়িতে ঘুরতে আসবে অথচ সিস্টেম রেস্টুরেন্টে একবেলা খাবে না সেটাকে একটা অমার্জনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যায়। ;)

খাগড়াছড়ি শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ও বিখ্যাত এই আদিবাসি রেষ্টুরেন্টে পাহাড়ী ঢংয়ে রান্না করা খাবারের স্বাদ এক কথায় অসাধারন। বাঁশ ভাজি, বাঁশ দিয়ে ডাল রান্না, মাশরুম ভাজি, লইট্যা মাছের ফ্রাই, মরিচ-পিয়াজ দিয়ে শুটকি ফ্রাই, পাহাড়ের স্পেশাল রেসিপিতে হাঁস ও মুরগীর মাংস রান্না সহ প্রত্যেকটা খাবারের স্বাদ অনেকদিন মনে রাখার মত।

সিস্টেম রেস্টুরেন্ট থেকে লাঞ্চ করার পর ১০ টাকা দিয়ে নিউজিল্যান্ড ঘুরে এলাম। এটা খাগড়াছড়ি শহরের এক প্রান্তে ঢাকার দিয়াবাড়ির মত একটা জায়গা। পাহাড়ের কোলঘেষেঁ নতুন আবাসিক এলাকা গড়ে উঠছে। এলাকার ল্যান্ডস্কেপটা দেখতে নিউজিল্যান্ডের মত। তাই স্থানীয় মানুষ এর নাম দিয়েছে নিউজিল্যান্ড পাড়া।

নিউজিল্যান্ড পাড়া ঘুরে তারপর খাগড়াছড়ি হর্টিকালচার পার্কে আসলাম। পার্কের বিশেষ আকর্ষন হিসেবে দুই পাহাড়ের মাঝে একটা ঝুলন্ত সেতু আছে যেটি দর্শনার্থীদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়।

শহর হিসেবে খাগড়াছড়ি খুব বেশি বড় নয়। পুরো শহরটাকে এখন ঘুরে দেখছি। শহরের মার্কেট গুলোতে আদিবাসি নারীদের পরিচালিত বিভিন্ন দোকান রয়েছে।

Friday, October 23, 2015

অরণ্য, পাহাড় আর মেঘের মিতালির খাগড়াছড়ি যাচ্ছি!

অরণ্য, পাহাড়, সমুদ্র বরাবরই আমাকে টানে, ভীষণভাবে টানে। অরণ্যের নির্জনতা, পাহাড়ের বিশালতা, সমুদ্রের গর্জন জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করতে শেখায়। তাই সুযোগ পেলেই এই তিনটের কোন একটায় ঘুরে আসতে ইচ্ছে করে।

পার্বত্য চট্রগ্রামে আমি আগেও গিয়েছি। তবে এবারের খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি ভ্রমন শুধুই অরণ্য আর পাহাড়ের সৌন্দর্য অবলোকন করার জন্য নয়।  পাহাড় আর পাহাড়ীদের জীবনকে কাছ থেকে সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখাই প্রধান উদ্দেশ্য। তাই বাণিজ্যিক রিসোর্টে না থেকে কোন এক পাহাড়ি আদিবাসির বাসাতেই রাত কাটাবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

পার্বত্য চট্রগ্রামের প্রতি আমার আগ্রহ আগে থেকেই ছিল। তারপর সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়ার ফলে সেটা আরো বেড়ে যায়। আমার অসম্ভব প্রিয় একজন ম্যাডাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক তথ্য কমিশনার ড. সাদেকা হালিমের কাছে সোসলজি অব মাইনোরিটি কোর্স পড়ার ফলে আদিবাসি-উপজাতি বিতর্ক, আদিবাসিদের সমাজ, সংস্কৃতি, জীবনধারণ পদ্ধতি, পার্বত্য চট্রগ্রামের স্বাধিকার আন্দোলন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি প্রভৃতি বিষয়ে একাডেমিক ভিউ থেকে অজানা অনেক বিষয়ের সাথেই পরিচিত হয়েছি।

মাইনোরিটি ও জেন্ডার ইস্যু আমার একাডেমিক ইন্টারেস্টের জায়গা হওয়ায় পার্বত্য অঞ্চল ও আদিবাসিদের নিয়ে আমার বিশেষ আগ্রহ আছে।  এছাড়া আমার আসন্ন অনার্স ফাইনাল ইয়ারের মনোগ্রাফ/থিসিসের টপিক হিসেবে 'সাজকের রুইলুই, কংলাক পাড়ার উপর পর্যটন শিল্পের প্রভাব' নিয়ে কাজ করা যায় কি না তার প্রি-এসেসমেন্ট করার ইচ্ছে আছে। তাছাড়া ভবিষ্যতে আদিবাসিদের নিয়ে আরো পড়াশুনা ও কাজ করার ইচ্ছাতো আছে। তাই আশা করছি, এই ভ্রমন থেকে নতুন অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবো।

Tuesday, October 20, 2015

পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক চশমা চোখে দিয়ে নয়, পাহাড়ের সমস্যাকে বুঝতে হবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চোখ দিয়ে তাকিয়ে!

পাহাড়ীরা স্বাধীনতা চায় না। তারা চায় তাদের ন্যায্য অধিকারের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, শতবছরের বাপ-দাদার ভিটেমাটি থেকে বিনা নোটিশে উচ্ছেদ না হওয়ার গ্যারান্টি।

ষোল কোটি জনসংখ্যার বাংলাদেশে মাত্র ১০ লক্ষ পাহাড়ী আদিবাসিদের বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে না দেখে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে তাদের চাওয়া-পাওয়া/দাবী-দাওয়ার কথা বিবেচনা করতে হবে।

তাই পার্বত্য চট্রগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে আদিবাসিদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, পার্বত্য অঞ্চলের ভূমি সমস্যার সমাধান সহ পার্বত্য শান্তিচুক্তির দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে।

Tuesday, October 6, 2015

আমাদের দেশে শিশুদের মারধর বা নির্যাতনের এমন সংস্কৃতি কেন?

বাংলাদেশে শিশুদের নির্যাতন বা মারধরের সংস্কৃতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক খন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন বলেন, সামাজিক এক ধরনের চর্চাই এর কারণ। মনে করা হয়, বাবা পরিবারের কর্তা হবেন, তিনি মাঝে মাঝে শাসন করবেন- এই ধারনার ধারাবাহিকতায় বিষয়টা ঘটে চলেছে।

তিনি বলেন, একধরনের মিশ্র সংস্কৃতির চর্চা চলছে। এর প্রভাবও রয়েছে। ব্যক্তি, পরিবার বা প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন ক্ষেত্র দ্বারা শিশুদের ওপর বিভিন্ন নির্যাতনের এসব ঘটনা ঘটছে।

বাবা-মা কিংবা স্কুল বা আশ্রয়কেন্দ্রের মত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরা মনে করেন, মাঝে-মধ্যে শাসন না করলে শিশুরা শৃঙ্খলার বাইরে চলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে জীবনে সফলতা আসবে না।

শিশুর মনে ভয় ঢুকিয়ে দেয়ার জন্যই এই সংস্কৃতি চলে আসছে। তাছাড়া শিশুকে ব্যক্তি বলে মনে করা হয় না। পারিবারিক এবং সামাজিক শিক্ষা ও চর্চাই এর কারণ।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ৬০ লাখ শিশু আছে। স্কুল থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ে তাদের সব ধরনের নির্যাতন থেকে সুরক্ষা করার যে ধরনের আইনগত বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া থাকা দরকার তা অনুপস্থিত। আর আইন থাকলেও, এর কঠোর প্রয়োগ বা বাস্তবায়ন না থাকায় শিশুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা ঘটছেই।

ড. সামিনা লুৎফার দুটি কথা!

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও নাট্যকার ড. সামিনা লুতফা আমাদের ষষ্ঠ সেমিস্টারের কোন এক ক্লাসে কিছু চমৎকার কথা বলেছিলেন। সেদিন আমি আমার ক্লাস নোটে দুটো পয়েন্ট পিক করে নিয়েছিলাম এবং ম্যাডামের ক্লাস থেকে আমি যা বুঝেছিলাম তা হল:

ঘন্টা প্রতি আয়ের পরিমানই নির্ধারণ করে দিবে নারী ও পুরুষের মধ্যে কে ঘরে আর কে ঘরের বাইরে কাজ করবে।

এবং বাংলাদেশের মত পুরুষতান্ত্রিক ও সেকেলে সমাজে উচ্চ শিক্ষিত ও অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন মেয়েদের অপেক্ষাকৃত কম শিক্ষিত ও কম যোগ্যতা সম্পন্ন ছেলেদের বিয়ে করার সম্ভাবনা বেশি।

এ থেকে আমরা কী বুঝতে পারি?

ঘরের কাজ এখন নারীদের পাশাপাশি পুরুষদেরও করার অভ্যাস করতে হবে।

বাংলাদেশের বেশিরভাগ উচ্চশিক্ষিত পুরুষদের কথা ও কাজে মিল নাই। তারা নারীদের উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ারের প্রয়োজনের কথা বললেও বিয়ে করার সময় সমবয়সী উচ্চশিক্ষিত ও চাকুরীজীবী নারীর চেয়ে কম বয়সী স্কুল/কলেজের মেয়েদের অগ্রাধিকার দিতে দেখা যায়।

বিশ্বাস কী?

বিশ্বাস হচ্ছে কোন কিছু সম্পর্কে "ধরে নেয়া" সত্য।
যেমন, 'সবকিছুই আসলে একটা বিশ্বাস'। এটা একটা ধরে নেয়া সত্য।

মানুষ তার আশেপাশের জিনিসকে বোঝা বা ব্যাখ্যা করার জন্য বিশ্বাস তৈরি করে।

এখন প্রশ্ন হতে পারে বিশ্বাস কীভাবে তৈরি হয়?

বিশ্বাস মূলত মানুষের দৈনন্দিন জীবনের পারিপার্শ্বিক জগতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার অর্জিত অভিজ্ঞতা, উপলব্ধি ও জ্ঞানের সমন্বয়ে তৈরি হয়।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিশ্বাস যেভাবেই তৈরি হোক না কেন, যখনই কোন বিশ্বাস তৈরি হয়, তখনই মানুষ সেটাকে সংরক্ষন করার আপ্রান চেষ্টা করে।

পড়ার কোন বিকল্প নাই

পবিত্র কোরআনে অবতীর্ণ প্রথম শব্দ হচ্ছে 'ইকরা' অর্থাৎ পড়।

বিখ্যাত সাহিত্যিক লিও তলস্তয় বলেছিলেন, আমাদের জীবনে তিনটি জিনিস প্রয়োজন আর তা হল, বই, বই এবং বই।

অন্যদিকে বিপ্লবী মাও সেতুং বলেছিলেন, পড়, পড় এবং পড়।

পড়া যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা এই তিনটি বাক্য থেকেই বোঝা যায়। পড়ার উপকারিতা বা ভাল দিক বলেতো আর শেষ করা যাবে না। তাই না পড়ার একটা কুফল বলে আজকের লেখা শেষ করছি।

পড়ার অভ্যাস না থাকলে সহজেই কেউ ধর্ম ব্যবসায়ী বাবা বিজ্ঞান ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে যেতে পারে। তাই এসব স্বার্থপরায়ণ ব্যবসায়ীদের খপ্পর থেকে বাঁচতে চাইলে পড়ুন, পড়ুন এবং পড়ুন।

মন্ত্রী, এমপিদের গাড়ী কেনায় ভ্যাট/ট্যাক্স দিতে না হলেও শিক্ষার মত মৌলিক অধিকারের বিষয়ে কেন ভ্যাট দিতে হবে?

শিক্ষা একটা সার্বজনীন মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্রের দ্বায়িত্ব হচ্ছে সকল জনগনের শিক্ষা ও স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করা। কেননা একমাত্র শিক্ষিত ও স্বাস্থবান নাগরিকের পক্ষেই রাষ্ট্রের উন্নয়ন কাজে ভূমিকা রাখা সম্ভব।

রাষ্ট্রের কাজ যেখানে সকল জনগনের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা, সেখানে শিক্ষায় ভ্যাট আরোপ করে উলটো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা কেন?

#NoVatOnEducation

আধুনিক বিজ্ঞানের যুগেও ধর্ম কেন টিকে আছে?

আধুনিক যুগ বিজ্ঞানের যুগ। মানুষ এই যুগে সবকিছুকে বিজ্ঞানের আলোকে দেখতে চেস্টা করে। সবকিছুর পিছনের কারন খুঁজে বের করতে চায়। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের এই জয়জয়াকারের যুগেও ধর্ম এখনো তার স্বমহিমায় টিকে আছে। এর কারন কী?

সমাজবিজ্ঞানীরা ধর্ম টিকে থাকার পিছনে তিনটি প্রধান কারন খুঁজে বের করেছেন।

(১) কিছু অজানা বিষয়ের রহস্য বের করতে না পারা।

(২) মৃত্যুকে ঠেকাতে ব্যার্থ হওয়া।

(৩) ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চয়তা।

মানুষ একসময় ঝড়-বৃষ্টিকে মানুষের পাপ-পূণ্যের ফলাফল হিসেবে অতিপ্রাকৃত শক্তি বা স্রষ্টার শাস্তি-রহমত হিসেবে দেখতো। কিন্ত আধুনিক বিজ্ঞান প্রমান করে দেখিয়েছে ঝড়-বৃষ্টি একটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা। বায়ুর তাপমাত্রা-পানিচক্র ইত্যাদির প্রভাবের কারনে ঝড়-বৃষ্টি হয়, মানুষের পাপ-পূণ্যের কারনে নয়।

কিছুদিন আগেও (অবশ্য এখনো) ভূমিকম্পকে মানুষের পাপের শাস্তি হিসেবে স্রস্টার গজব হিসেবে দেখা হত। অথচ বিজ্ঞান দেখিয়েছে ভূমিকম্প আমাদের পৃথিবীর বিশেষ অভ্যন্তরীণ গঠন বা ভূ-অভ্যন্তরস্থ ফাটলের কারনে হয়, কোন নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের পাপের শাস্তির ফলাফল হিসেবে না।

যদিও আধুনিক বিজ্ঞান অনেক অতিপ্রাকৃত রহস্যময় ঘটনাকে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা হিসেবে ব্যাখ্যাসহ প্রমান করে দেখিয়েছে। এতদসত্বেও কিছু ঘটনা আছে যেগুলোর ব্যাখ্যা আধুনিক বিজ্ঞান এখনো দিতে পারে নি। তাই যতদিন বিজ্ঞান এই সকল বিষয়ের সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা বা সমাধান দিতে না পারবে, ততোদিন পর্যন্ত হয়ত সমাজে ধর্ম টিকে থাকবে।

তবে এটাও উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, বিজ্ঞান কোন স্থির বিষয় নয়, এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। বিজ্ঞান একসময় অনেক ঘটনারই ব্যাখ্যা দিতে পারতো না কিন্তু এখন সে অনেক বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে পারে।

তাই বিজ্ঞান এখন যেসব বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে পারেনা, ভবিষ্যতেও যে তা পারবে না তা কিন্তু বলা যায় না। হয়তোবা, সময়ের সাথে সাথে আমরা এমন অনেক কিছু জানবো, যা কেউ ভাবেতেই পারে নাই আগে।

#SociologyOfReligion