Monday, April 13, 2015

~ "ছুঁয়ে দিলে মন" চলচ্চিত্রটি সত্যিই আপনার মন ছুঁয়ে দিবে! ~

বাংলা চলচ্চিত্রে যে দৈন্য ভর করেছে, তা আর নতুন কোন খবর ন। দর্শকরা ভাল ছবির অভাবে প্রেক্ষাগৃহ থেক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। দর্শকের অভাবে হল মালিকেরা হল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রযোজকরা চলচ্চিত্রে বিনিয়োগ করতে আস্থা হারিয়েছেন।

দেশীয় চলচ্চিত্রের এমন দুঃসময়েও কিছু তরুন অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালক, প্রযোজক বাংলা সিনেমাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এইসব তরুনদের প্রচেষ্টাকে সম্মান জানানোর ও বাংলা সিনেমাকে বাঁচিয়ে রাখার একমাত্র উপায় হচ্ছে নিজে ও বন্ধু-বান্ধবদের সাথে নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখা।

গত ১০ এপ্রিল মুক্তি পাওয়া আরিফিন শুভ, জাকিয়া বারী মম ও ইরেশ যাকের অভিনীত, শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ ছবিটি দেখলাম। ছবিটি দেখার পর এককথায় মন্তব্য করতে বলা হলে বলতে হয় সত্যিই মুভিটি মন ছুঁয়ে দিয়েছে।

সিনেমাটিতে একদমই নতুন কিছু না থাকলেও অনেক কিছুই আছে প্রশংসা পাওয়ার মত।
ছবিটিতে বারবার একটা মজার ডায়ালগ শোনা যায় মিশা সওদাগরের মুখে, ‘প্রত্যেক জিনিসেরই কিছু ভালো দিক আছে, কিছু খারাপ দিকও আছে।’ ছুঁয়ে দিলে মন ছবিটিতে নিশ্চয়ই এই দুই দিকেরই উপস্থিতি আছে। তবে আমি শুধু ভালো দিকগুলোর কথাই বলব।

পাহাড়ি অঞ্চলের পটভূমিতে নজরকাড়া লোকেশন বাছাই করে পরিচালক মুনশিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন।

মিষ্টি প্রেমের গল্পের এই ছবিতে রোমান্টিসিসম, সাসপেন্স, হাস্যরসের কোন অভাব ছিলনা। হাবিবের সংগীত পরিচালনায় চলচ্চিত্রটির সবগুলো গানই ছিল চমৎকার ও শ্রুতিমধুর। মুভিটির গানে আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী নাচ সংযুক্তি নিঃসন্দেহে বাড়তি ফ্লেভার দিয়েছে।

আরেফিন শুভর অভিনয় দক্ষতা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ ছিলনা। এর আগে সে একশন নির্ভর মুভিতে ভাল করলেও এই রোমান্স নির্ভর ছবিটিতেও যথারীতি সে চমৎকার অভিনয় করেছে। জাকিয়া মম'র অভিনয় সম্পর্কে কিছুই বলবনা কারন তার প্রতি আমার আগে থেকেই দুর্বলতা রয়েছে। :P

ছবিটিতে নতুনত্বের কথা বলতে গেলে বলতে হয়, ভিলেন চরিত্রের বাইরে গিয়ে মিশা সওদাগার তার দুলাভাই চরিত্রটি অসাধারনভাবে হাস্যরসের সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন। ইরেশ যাকেরের নতুন গেট আপে ভিলেন চরিত্রে অভিনয়ও ছবিটিতে নতুনত্ব দিয়েছে।

No comments:

Post a Comment