Monday, August 8, 2016

বুক রিভিউ: সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও পরিবেশ ভাবনা

মানব জাতির ইতিহাস হাজার বছর ধরে সভ্যতার উত্থান ও পতনের ইতিহাস। সভ্যতার এই উত্থান-পতনের ইতিহাস রচনায় মানুষের ভূমিকাই প্রধান। মানুষের দায়িত্ববোধের দ্বারা কর্তব্য-কর্মের মাধ্যমে সমাজ সমৃদ্ধি লাভ করে। তেমনি আবার এই মানুষের দায়িত্বহীন কর্মের কারণেই সমাজের সমূহ ক্ষতি সম্পন্ন হয়। সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও পরিবেশ একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয়। মানব সভ্যতা টিকে থাকবে কি থাকবে না বা সভ্যতার গতিপথ কোন দিকে তা এই প্রত্যয়সমূহের বিশ্লেষণের মাধ্যমে সহজেই বোঝা সম্ভব।

ড. ইব্রাহিম মুকুল রচিত "সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও পরিবেশ ভাবনা" বইটি একটা নন-ফিকশন বা অ-কথাসাহিত্যিক বই। বইটিতে কিছু কিছু  যায়গায় নানা ধরনের তথ্য, পরিসংখ্যান, রেফারেন্সের ব্যবহার দেখা গেলেও কোন ধরনের রিসার্চ মেথডলজি বা রিসার্চ ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়নি বিধায় একে গবেষণাধর্মী বই বলার সুযোগ নাই।

"সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও পরিবেশ ভাবনা" প্রকৃতপক্ষে কোন মৌলিক বই নয়। এটি মূলত সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও পরিবেশ নিয়ে লেখকের নিজস্ব ভাবনার আলোকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাময়িকীতে প্রকাশিত এবং রেডিও থেকে প্রচারিত কতিপয় নির্বাচিত প্রবন্ধের সংকলন।

কল্যানের প্রচেষ্টা আর উন্নয়নের পথযাত্রাকে সহজ-সরল এবং প্রশস্ত করার মহান উদ্দেশ্য নিয়েই লেখকের এই 'সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও পরিবেশ' বিষয়ক ভাবনা। "মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান" এই সার্বজনীন দায়বদ্ধতা থেকে মাটি, মানুষ ও প্রকৃতির মুক্তির লক্ষে ভাষাহীন কুড়েঘরের মানুষের অব্যক্ত কথা জাতির বিবেকের কাছে তুলে ধরতে লেখক কলম তুলে নিয়েছেন।

সংকলিত নিবন্ধগুলো সময়ের দীর্ঘ পরিসরে  রচিত নানামুখী চিন্তা ও ভাবনার ফসল। সময়ের ব্যবধান, বিষয় ও ক্ষেত্রগত ভিন্নতর কারনে নিবন্ধগুলোতে ভাবনার ধারাক্রম এবং যুক্তির পরস্পরা রক্ষিত না হলেও পাঠকের সুবিধার্থে রচনাগুলোকে শ্রেনীবিন্যাস করে বিষয়ভিত্তিক চারটি অধ্যায়ে সাজানো হয়েছে। অধ্যায়গুলো হল-

১) সমাজ-সংস্কৃতি ভাবনা
২)রাজনীতি ভাবনা
৩)অর্থনীতি ভাবনা ও
৪)পরিবেশ ভাবনা

প্রথম অধ্যায়ে সমাজ-সংস্কৃতি নিয়ে লেখকের ভাবনাগুলোকে একত্রিত করা হয়েছে। এ অংশে লেখক জাতীয় জীবনে  আদর্শ, সততা, ন্যায়-নৈতিকতার প্রয়োজনীয়তা, শিশুদের সঠিক সামাজিকীকরণ, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিশুদের অগ্রাধিকার ও সার্বিক কর্মপরিকল্পনায় শিশুকল্যাণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।
জাতীয় উন্নতিতে স্বার্থচিন্তার প্রভাব; দেশ গঠনে সরকার, প্রজাতন্তের কর্মচারী ও সিভিল সোসাইটির ভূমিকা; বাঙালির স্বজাত্যবোধের উজ্জ্বল প্রতীক ও সার্বজনীন জাতীয় উৎসব পহেলা বৈশাখ এবং একুশের তাৎপর্যের কথা উল্লেখ করেছেন। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল ঘরে তুলতে শিক্ষক, ছাত্র সমাজ ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

দ্বিতীয় অধ্যায়ে লেখকের রাজনীতি ভাবনা সংকলিত হয়েছে। এ অংশে লেখক দর্শনবিহীন এবং পেশিশক্তি ও পারিবারিক ইতিহাস নির্ভর রাজনীতির সমালোচনা করে  রাজনীতিতে সততা, নৈতিকতা ও বিজ্ঞানমনস্ক দৃষ্টিভঙ্গির চর্চার মাধ্যমে জনগনের কল্যান সাধনের কথা বলেছেন।
প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির সমালোচনা করে, সোনার বাংলাদেশ গড়তে তিনি প্রতিহিংসামুক্ত, উদার এবং মেধানির্ভর উন্নয়নমুখী রাজনীতি চর্চার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। স্বাধীন দেশে ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি মনে করেন, ছাত্রদের প্রধান কাজ হল পড়াশুনা করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পান্ডিত্য অর্জন করা এবং পড়াশুনা শেষে দেশ গঠনে আত্বনিয়োগ করা। তিনি অবশ্য জাতীয় দুর্যোগ বা জাতীর ক্রান্তিকালীন সময়ে ছাত্রসমাজের বিশেষ ভূমিকা পালনের গুরুত্বের কথা অস্বীকার করেন নি। তবে নিয়মিত রাজনীতিতে ছাত্রসমাজের অংশগ্রহনের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এছাড়া, জনগনের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সন্ত্রাস দমনে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহনের কথা বলেছেন। পাশাপাশি সমাজ থেকে অপরাধীদের নির্মূল করতে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সন্ত্রাসের প্রতিরোধমূলক ও চিকিৎসামূলক (curative) ব্যবস্থা যুগপৎভাবে কার্যকর রাখার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

তৃতীয় অধ্যায়ের অর্থনীতি ভাবনায় অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় একমুখী নগরমুখী উন্নয়নের পরিবর্তে গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। গ্রামীন অর্থনীতি বিকাশে সমবায়ের ভূমিকা, বাজেট প্রনয়ন ও বাস্তবায়নে জনগনের সক্রিয় অংশগ্রহনের গুরুত্ব এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে রফতানি বাড়িয়ে দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া, এই অধ্যায়ে বড় অংশজুড়ে বীমা শিল্প, বীমা শিল্পের নানাদিক, বীমা শিল্পে নীতি-নৈতিকতার গুরুত্ব ও অর্থনীতিতে বীমা শিল্পের ভূমিকা ও গুরুত্বের কথা চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

চতুর্থ ও সর্বশেষ অধ্যায়ে লেখকের পরিবেশ ভাবনা প্রকাশিত হয়েছে। এ অধ্যায়ে লেখক সুন্দর ও নিরাপদ বিশ্ব গড়তে পরিবেশ সংরক্ষনের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। পরিবেশ ধংস করে উন্নয়নের সমালোচনা করে লেখক উন্নয়নের সামগ্রিক ও সার্বজনীন ধারনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। পরিবেশ দূষন, কীটনাশকের যাচ্ছেতাই ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব, জীবন ও পরিবেশের উপর পলিথিন-জাত দ্রব্যাদি ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক নিয়ে বাস্তবসম্মত আলোচনা করে পরিবেশ সংরক্ষনে জনসচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

আলোচিত  বইটিতে লেখকের কোন বিশেষ আদর্শ বা দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি পক্ষপাতিত্ব প্রকাশ না পেলেও সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও পরিবেশ বিষয়ক ভাবনাগুলো তাঁর ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন থেকে পুরোপুরি মুক্ত নয়।

ড. ইব্রাহিম মুকুল ঢাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে উচ্চতর শিক্ষা নিয়েছেন। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনিক ক্যাডারসহ তথ্য, শিক্ষা, বস্ত্র, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ ইনসিওরেন্স একাডেমিতে প্রশিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। এছাড়া, রয়্যাল ট্রপিকাল ইনস্টিটিউট, আমস্টার্ডাম, হল্যান্ডেও গেস্ট লেকচারার হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতাও তার রয়েছে।

সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পরিবেশ, কিশোর অপরাধ, সমাজ ও উন্নয়নের মত বিশ্বজনীন স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় সহ সমসাময়িক নানা বিষয় নিয়ে ইংরেজী ও বাংলা জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত লেখালেখি করছেন।

ভ্রমণ, শিক্ষা ও পেশাগত কারনে তিনি পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, জার্মানী, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ পরিভ্রমন করেন।  এসব দেশ থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতার নিদর্শন তার লেখালেখিতে প্রতিফলিত হতে দেখা যায়।

সৃজনশীল ও প্রগতিশীল প্রকাশনা হিসেবে রিদম প্রকাশনা সংস্থার সুনাম রয়েছে। ড. ইব্রাহীম মুকুলের "সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও পরিবেশ ভাবনা" বইটি প্রকাশ সংস্থাটির সৃজনশীল মহৎ উদ্যোগের একটি অনন্য উদাহরন।

২০০৭ সালে প্রকাশিত ২১০ পৃষ্ঠার আলোচিত এই বইটির গেটাপ-মেকাপ যথেষ্ঠ আকর্ষণীয়। প্রকাশনা সংস্থাটি যত্নের সাথে বইটি প্রকাশ করেছে তা সহজেই বলা যায়। যদিও বইটিতে কিছু যায়গায় বানান বিভ্রাটও চোখে পড়ে।

সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও পরিবেশ প্রত্যয় চারটি বর্তমান সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আলোচিত বিষয়। কেননা এই চারটি বিষয়ের উপরই মানব সভ্যতা টিকে থাকার রহস্য নিহিত আছে। সমসাময়িক দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে লেখক বইটিতে এই চারটি বিষয়কেই চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

মানব সভ্যতার গতিপথ সহজ, সরল ও নিষ্কণ্টক রাখতে লেখকের এই প্রয়াস প্রশংসার দাবী রাখে। বইটিতে বিষয়বস্তুসমূহের ধারাবাহিক অনুক্রম ও যুক্তির পরস্পরা পুরোপুরি রক্ষিত না হলেও তাতে কল্যাণের আকাংখ্যায় জাগ্রত চেতনার প্রতিফলন দেখা যায়।

বইটিতে সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও পরিবেশ বিষয়ে লেখকের নানা মতামত ও সুপারিশ লক্ষ করা যায়। নি:সন্দেহে এসব মতামত ও সুপারিশ বিবেচনার দাবী রাখে। ১৯৮৯ সালে জীবন ও পরিবেশের উপর পলিথিন দ্রব্য ও ব্যাগের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে A Remedy For Silent Hazard এবং ১৯৯০ সালে কীটনাশকের ব্যবহার এবং পরিবেশ ও টেকশই উন্নয়বের উপর The Environment & Sustainable Development শীর্ষক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে পলিথিন-জাত দ্রব্যাদির ব্যবহার বন্ধের আহবান জানানোর প্রায় দেড় যুগেরও অধিক সময়ের পর নীতি-নির্ধারন কর্তৃপক্ষ পলিথিন দ্রব্যাদির ব্যবহার নিষিদ্ধকরণসহ পরিবেশ রক্ষায় নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। এসব বিষয় থেকে লেখকের গভীর দৃষ্টিভঙ্গির তাৎপর্য খুঁজে পাওয়া যায়।

ড. ইব্রাহীম মুকুল বইটিতে পাঠকদের কিছু নতুন চিন্তার সাথে পরিচয় করে দিয়েছেন। ৮০ এর দশকে প্রকাশিত পলিথিন দ্রব্য ও ব্যাগের ক্ষতিকর প্রভাব  নিয়ে তার চিন্তাভাবনাকে তৎকালীন প্রেক্ষাপটে নতুন চিন্তা-ভাবনাই বলতে হবে। এছাড়া, ছাত্র রাজনীতি নিয়ে তার চিন্তাভাবনাকে নতুন না বলে উপায় নাই। ৫২, ৬২, ৬৯, ৭১, ৯০ এ রাজনীতির মাঠে অসাধরন ভূমিকা সত্ত্বেও তিনি ছাত্রদের নিয়মিত রাজনীতি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

ড. আকবর আলি খানের "অন্ধকারের উৎস হতে – সাহিত্য, সমাজ, পরিবেশ ও অর্থনীতি সম্পর্কে আলোর সন্ধান" বইটির সাথে ড. ইব্রাহীম মুকুলের "সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও পরিবেশ ভাবনা" বইটির কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে।

"অন্ধকারের উৎস হতে – সাহিত্য, সমাজ, পরিবেশ ও অর্থনীতি সম্পর্কে আলোর সন্ধান" গ্রন্থটি অর্থনীতিবিদ ও সাবেক আমলা ডঃ আকবর আলি খানের দীর্ঘ গবেষণার ফসল। যদিও গ্রন্থটি বেশ কিছু জটিল বিষয়ের প্রবন্ধে সমৃদ্ধ, তারপরও গবেষণা গ্রন্থের কঠিন কঠোর ভাব এতে নেই। বরং বলা চলে সাধারণ পাঠকের জন্যই লেখক অনেক যত্নের সঙ্গে প্রবন্ধগুলো রচনা করেছেন। নামকরণ প্রসঙ্গে বইয়ের লেখক ভূমিকায় লিখেছেন, “অন্ধকারে উৎস হতে বাঙালি জীবনের কিছু জটিল ও দুর্জ্ঞেয় প্রহেলিকা সম্পর্কে আলোর অন্বেষা”। সাহিত্য, সমাজ, পরিবেশ ও অর্থনীতির দুর্গম অঞ্চলে আলো জ্বালিয়ে নতুন কিছু দিক উদ্ভাসিত করার সচেতন প্রয়াস দেখা যায় আলোচ্য গ্রন্থে। ড. খানের এই বইটিতে ছয়টি প্রবন্ধ রয়েছে। যাদেরকে লেখক চারটি ভাগে ভাগ করেছেন- সাহিত্য, সমাজ ও রাষ্ট্র, পরিবেশ এবং অর্থনীতি নামে। যদিও বিষয়বস্তুগুলোর নিজেদের মধ্যে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য মিল নেই, তারপরও প্রতিটি প্রবন্ধই পাঠকের সমান মনোযোগ আকর্ষণ করে।

ড. খানের বইটির সাথে ড. মুকুলের বইটির উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হচ্ছে ড. খানের রচনাগুলো গবেষনাধর্মী দীর্ঘ প্রবন্ধ। যার প্রতিটিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গভীর দৃষ্টিপাত পাওয়া যায়। অন্যদিকে ড. মুকুলের বইয়ের প্রবন্ধগুলো মূলত দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত ইস্যু ভিত্তিক  মতামত ধরনের ছোট ছোট প্রবন্ধের সংকলন।

বইয়ের নাম: সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও পরিবেশ ভাবনা।
লেখক: ড. ইব্রাহীম মুকুল
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২১০
প্রকাশকাল: ২০০৭
প্রকাশনা: রিদম প্রকাশনা সংস্থা, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০।
মূল্য: ২০০ টাকা মাত্র
ISBN: 984-8319-67-0

বিঃদ্রঃ এক আপুর অনুরোধে ঢেকি গেলার উদাহরন হচ্ছে দীর্ঘ এই রিভিউটা। ;)

No comments:

Post a Comment