Sunday, February 21, 2016

এলোমেলো ভাবনা (১৪)

(১) ম্যাচুরিটি বয়সের সাথে নয়; অভিজ্ঞতার সাথে সম্পর্কিত। যার অভিজ্ঞতা যত বেশি, সে ততোবেশি ম্যাচিউরড।

(২) চিন্তা-ভাবনা আর যুক্তির আলোকে যেটা বলা হয় তাকে দর্শন বলা যেতে পারে; সমাজবিজ্ঞান না। সমাজবিজ্ঞান হতে হলে তার পিছনে অবশ্যই ডেটা বা তথ্য-প্রমান থাকতে হবে।

(৩) ভিন্নমতের সাথে ভিন্নমত দিয়েই লড়তে হয়, চাপাতি বা পিস্তল দিয়ে নয়।

(৪) আগেকার বাঙালি সমাজে স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের কাছে ছিলেন একচ্ছত্রভাবে গুরু এবং শ্রদ্ধার পাত্র। কিন্তু উপমহাদেশে ইংরেজরা শাসনক্ষমতায় আসার পর থেকে ধীরে ধীরে তারা বন্ধু ও প্রেমিকে পরিনত হতে শুরু করেন।

(৫) যে যা না, তা হওয়ার ভান করাটা হাস্যকর।

(৬) পাক-ভারত উপমহাদেশে সতীদাহ প্রথা থাকলেও পতিদাহ প্রথা কেন ছিল না?

(৭) মার্ক্সবাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি সবখানে অর্থনীতি দেখে এবং অর্থনীতি পরিবর্তন হলে দুনিয়ার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করে।

কিন্তু মানুষের জীবনে অর্থনীতি বড় ভূমিকা রাখলেও এটাই একমাত্র শেষকথা না। ব্যক্তি মানুষের জীবনে আবেগ-অনুভূতি, সংস্কৃতি-ইডিওলজি মোটেই কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।

(৮) পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষরা নারীদের টাকা, গায়ের জোর এবং ধর্মের নামে বন্দী করে রাখে। কাজেই এই তিন ক্ষেত্রে নারীরা শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে না পারলে তাদের মুক্তি নাই।

(৯) সমাজবিজ্ঞান আর সমাজচিন্তা আমার কাছে এক নয়।

সমাজবিজ্ঞান হতে হলে অবশ্যই তার পিছনে ডেটা বা তথ্য-প্রমান থাকতে হবে। আর সমাজচিন্তা হচ্ছে সমাজবিজ্ঞান হয়ে ওঠার প্রথম ধাপ। এটাকে সমাজবিজ্ঞান গবেষণা প্রকল্পের হাইপোথিসিস বা অনুমান বলা যেতে পারে।

(১০) ঘরবউ থাকা যদি দোষের না হয়; তাহলে ঘরজামাই থাকা কেন দোষের হবে?

No comments:

Post a Comment