অরণ্য, পাহাড়, সমুদ্র বরাবরই আমাকে টানে, ভীষণভাবে টানে। অরণ্যের নির্জনতা, পাহাড়ের বিশালতা, সমুদ্রের গর্জন জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করতে শেখায়। তাই সুযোগ পেলেই এই তিনটের কোন একটায় ঘুরে আসতে ইচ্ছে করে।
পার্বত্য চট্রগ্রামে আমি আগেও গিয়েছি। তবে এবারের খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি ভ্রমন শুধুই অরণ্য আর পাহাড়ের সৌন্দর্য অবলোকন করার জন্য নয়। পাহাড় আর পাহাড়ীদের জীবনকে কাছ থেকে সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখাই প্রধান উদ্দেশ্য। তাই বাণিজ্যিক রিসোর্টে না থেকে কোন এক পাহাড়ি আদিবাসির বাসাতেই রাত কাটাবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পার্বত্য চট্রগ্রামের প্রতি আমার আগ্রহ আগে থেকেই ছিল। তারপর সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়ার ফলে সেটা আরো বেড়ে যায়। আমার অসম্ভব প্রিয় একজন ম্যাডাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক তথ্য কমিশনার ড. সাদেকা হালিমের কাছে সোসলজি অব মাইনোরিটি কোর্স পড়ার ফলে আদিবাসি-উপজাতি বিতর্ক, আদিবাসিদের সমাজ, সংস্কৃতি, জীবনধারণ পদ্ধতি, পার্বত্য চট্রগ্রামের স্বাধিকার আন্দোলন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি প্রভৃতি বিষয়ে একাডেমিক ভিউ থেকে অজানা অনেক বিষয়ের সাথেই পরিচিত হয়েছি।
মাইনোরিটি ও জেন্ডার ইস্যু আমার একাডেমিক ইন্টারেস্টের জায়গা হওয়ায় পার্বত্য অঞ্চল ও আদিবাসিদের নিয়ে আমার বিশেষ আগ্রহ আছে। এছাড়া আমার আসন্ন অনার্স ফাইনাল ইয়ারের মনোগ্রাফ/থিসিসের টপিক হিসেবে 'সাজকের রুইলুই, কংলাক পাড়ার উপর পর্যটন শিল্পের প্রভাব' নিয়ে কাজ করা যায় কি না তার প্রি-এসেসমেন্ট করার ইচ্ছে আছে। তাছাড়া ভবিষ্যতে আদিবাসিদের নিয়ে আরো পড়াশুনা ও কাজ করার ইচ্ছাতো আছে। তাই আশা করছি, এই ভ্রমন থেকে নতুন অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবো।
No comments:
Post a Comment