(১)বাঙালি ইতিহাস সচেতন জাতি না। তা না হলে তারা পাকিস্তানিদের বর্বরতার বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে স্বাধীনতা অর্জন করার পরেও পাহাড়ি আদিবাসীদের সাথে সেই একই রকম বর্বর আচরন করতে পারতো না।
(২)বাঙালিদের মধ্যে যে ইতিহাস সচেতনতা নাই তার প্রমান পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কোন খেলা হলেই দেখা যায়। বাঙালিদের প্রতি পাকিস্তানিদের অত্যাচার, অবিচার, নিপীড়ন, শোষণ ও ধর্ষণের ইতিহাস সচেতনতার ন্যূনতম অংশ অবশিষ্ট থাকলে ক্রিকেট খেলায়ও কেউ পাকিস্তানের সমর্থন করতে পারত না।
(৩)দুর্ঘটনা ও অসতর্কতা এক বিষয় না। দুর্ঘটনা দু-একবার ঘটতে পারে কিন্তু কোন ঘটনা যখন বারবার ঘটে, সেটাকে দুর্ঘটনা না বলে অসতর্কতার ফলাফল বলাই অধিক যুক্তিযুক্ত।
(৪)একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের কর্তব্য হচ্ছে, সে সব বিষয় সম্পর্কে কিছু কিছু এবং কিছু বিষয় সম্পর্কে সবকিছু জানবে।
(৫) বাঙালি সংস্কৃতি কোন মৌলিক বা অভিন্ন সংস্কৃতি নয়। এ সমাজ যেমন বহু ভাগে বিভক্ত, এ সংস্কৃতিও তেমনি বহু রঙে রাঙানো।
(৬)চিন্তার সংকীর্ণতা দুর করতে আড্ডা বা পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার বিকল্প নাই। তাই আড্ডায় পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
(৭)মুখে শান্তিনেকেতন আর অন্তরে পেন্টাগন রেখে পাহাড়ে যতই "শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের" সাইনবোর্ড টাঙানো হোক না কেন, তাতে পার্বত্য চট্রগ্রামে শান্তি আসবেনা।
(৮) নারী নির্যাতনকে প্রতিরোধ করতে হলে নারীকে হয়ে উঠতে হবে পুরুষের সমকক্ষ - ঘরে ও বাইরে, মেধা ও মননে, এবং মানসিক ও শারীরিক শক্তিতে।
(৯)মুখের কথা বোঝ, মনের কথা বোঝ না?
(১০)স্পোর্টস বা খেলাধুলা শুধুমাত্র বিনোদনের বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটা একই সাথে ইতিহাস, রাজনীতি, এবং অর্থনীতির সাথেও গভীরভাবে সম্পৃক্ত।