বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর নবীন ছাত্রদের পক্ষে বুঝে ওঠা কষ্টকর যে কী কী বই দিয়ে পড়া শুরু করা উচিৎ। সে যে বিষয় বা সাবজেক্টে ভর্তি হয়েছে তার প্রয়োজনীয়তা কী বা কোন বিষয়ে সে বিশেষায়িত জ্ঞানী হতে চায় এটা বুঝতে হলে তাকে প্রাথমিকভাবে প্রায় ১০ হাজার পৃষ্ঠা বিশেষভাবে পড়া উচিৎ। আশা করা যায়, এই বইগুলো পড়লে সে তার করনীয় বা দিক নির্দেশনা খুঁজে পাবে। বইগুলোর নামের তালিকা নিচে দেয়া হল।
(১) হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি (৫৪৮ পৃষ্ঠা)। লেখক- গোলাম মুরশিদ, অবসর প্রকাশনা।
(২) বাংলাদেশের ইতিহাস ৩ খন্ড (মোট ১৭৮৪ পৃষ্ঠা)।
(ক) রাজনৈতিক ইতিহাস (১ম খন্ড)
(খ) অর্থনৈতিক ইতিহাস (২য় খন্ড)
(গ) সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস (৩য় খন্ড)
সিরাজুল ইসলাম কর্তৃক সম্পাদিত ও বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত।
(৩) বাংলাপিডিয়া, ১৪ খন্ড (মোট ৬৭৬৮ পৃষ্ঠা)।
সিরাজুল ইসলাম কর্তৃক সম্পাদিত ও বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত।
(৪) বাংলাদেশের সংবিধান (প্রায় ১০০ পৃষ্ঠা)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন ছাত্রছাত্রীদের কথা চিন্তা করে ঢাকা ইউনিভার্সিটি রিডিং ক্লাব এই সিলেবাস তৈরি করেছে। এই ১০ হাজার পৃষ্ঠা পড়লে আপনি হয়তো কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষায়িত জ্ঞানী হতে পারবেন না কিন্তু এই সিলেবাস শেষ করলে মোটামুটি সব বিষয় সম্পর্কে আপনার একটা সাধারন ধারনা তৈরি হবে। ফলে, এই পঠন আপনাকে আপনার পছন্দের একাডেমিক জায়গা খুঁজে পেতে এবং আপনার ভবিষ্যত করনীয় সম্পর্কে একটা সলিড গাইডলাইন তৈরি করতে সাহায্য করবে।
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি নবীন ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই তালিকার সাথে ফরজে আইন হিসেবে আমি আরো দুইটি বই পড়ার পরামর্শ দিবো। কারো এই দশ হাজার পৃষ্ঠা পড়ার ধৈর্য না থাকলেও এই বই দুটি যেন অবশ্যই পড়ে। আমার বিশ্বাস বই দুটি পড়লে পাঠকের চিন্তার জগতে নতুন এক আলোড়ন সৃষ্টি হবে।
প্রথম বইটির নামঃ
(৫) সোফির জগৎ ( ৪৮৪ পৃষ্ঠা)
লেখক: ইয়স্তেইন গার্ডার
অনুবাদ: জি এইচ হাবীব
সংহতি প্রকাশন
কনকর্ড এম্পোরিয়াম, কাঁটাবন, ঢাকা।
তেপ্পান্ন ভাষায় অনূদিত এবং তিন কোটির অধিক কপি বিক্রিত ওয়ার্ল্ড বেস্ট সেলার এই উপন্যাসটি মূলত ৩০০০ হাজার বছরের চিন্তার ইতিহাস। জীবন-জগত নিয়ে মানুষের চিরন্তন মৌলিক সব প্রশ্ন ও তার উত্তর নিয়ে সক্রেটিস-প্লেটো-এরিস্টেটল থেকে শুরু করে হালের স্টিফেন হকিং পর্যন্ত সব মহা-মনিষীদের ভাবনা স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের বোঝার উপযোগী করে অত্যন্ত সহজ ভাষায় থ্রিলার উপন্যাসের স্টাইলে এই বইটি লেখা হয়েছে।
দ্বিতীয় বইটির নামঃ
(৬) স্যাপিয়েন্স: আ ব্রিফ হিস্টোরি অব হিউমানকাইন্ড (প্রায় ৫০০ পৃষ্ঠা)
লেখকঃ ইউভাল নোয়াহ হারারি
জেরুজালেম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক কর্তৃক লিখিত সানডে টাইমস বেস্ট সেলার এই বইটি এক কথায় অসাধারন। হোমো স্যাপিয়েন্সের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস লিখতে তিনি বিবর্তনীয় জীববিদ্যার সাহায্য নেয়ায় বইটি বিদগ্ধ মহলে বিশেষ প্রশংসিত হয়েছে।
এখানে প্রায় ১০ হাজার পৃষ্ঠা রয়েছে। প্রতিদিন ৫০ পৃষ্ঠা করে পড়লে প্রায় ৬ মাসের মত লাগবে। তাই আর দেরী কেন? আজকেই শুরু হয়ে যাক নতুন এই পথচলা...
#HappyReading
আপনার পরামর্শ বা এই পোস্ট হয়তো আমার জীবন ঘুরিয়ে দিবে, আমি আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে আমার দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত পরামর্শ টি পেয়েছি, অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক শুভেচ্ছো আপনার প্রতি। আমার কোন বড় ভাই গাইড দেওয়ার মত থাকলে হয়তো আমিও ঢাবিতে পড়তে পাড়তাম। ভাইয়া আমি এখন ঢাকা কলেজে সমাজবিজ্ঞানে ২য় বর্ষে পড়ছি। আপনার নাম্বার টা দিলে কিছু বিষয় জেনে নিতাম,আপনি কমেন্টের
ReplyDeleteরিপ্লেতে নাম্বার টা দিয়েন বা দয়া করে একটা মেসেজ দিয়েন,আমার নাম্বার:০১৭১০২০১৪২৯